বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ২৮ আগষ্ট ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা তাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলোর নিরাপত্তার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল চত্বরে করা স্ট্যান্ড ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে দুইদিন ধরে ধর্মঘট করছেন। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রোগী বহন করবেন না। প্রয়োজনে বিভাগের সব বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক ধর্মঘটে যোগ দেবেন।
হাসপাতালের আগের পরিচালক জরুরি বিভাগে প্রবেশের সড়কের পাশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে রোগীর অভিযোগ ঊঠলে হয়রানি বন্ধ ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হাসপাতাল সীমানার মধ্যে স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেন বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মশিউল মুনীম। গত বুধবার তিনি এ নির্দেশ কার্যকর করেন।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্বজনদের সঙ্গে দর নির্ধারিত হওয়ার পর নির্দিষ্ট অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করে রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করবে।
পরিচালকের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা। তারা স্ট্যান্ড ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার স্মারকলিপি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। বুধবার থেকে তারা রোগী বহন বন্ধ করেন।
অ্যাম্বুলেন্স মালিক আজিজুর রহমান জানান, প্রায় ২০০ মালিকের সমন্বয়ে মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড গঠন করে ব্যবসা করছেন তারা। তাদের ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য সাবেক পরিচালক সাইফুল ইসলাম মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের পাশে জায়গা নির্ধারণ করে দেন। ১০ লাখ টাকায় নিচু জায়গা ভরাট করে স্ট্যান্ড করেছেন। এখন তাদের সেখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলম বলেন, ‘পরিচালকের আদেশের পর বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে অনিরাপদ জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স রাখি। অনেক গাড়ির ব্যাটারিসহ যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। আমরা শেবাচিম হাসপাতালের রোগীদের সেবা দিই। হাসপাতালের ভেতরে নির্ধারিত স্ট্যান্ড আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শেবাচিমের ১০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ৩টি অ্যাম্বুলেন্স চালানো হয় না। ৭টি সচল অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালক আছেন স্থায়ী দুইজন ও একজন আউটসোর্সিং। যে কারণে রোগীদের প্রধান ভরসা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। তারা ধর্মঘটে যাওয়ায় রোগীর স্বজনরা পড়েছেন দুর্ভোগে। সংকট নিরসনে পদক্ষেপ বিষয়ে জানতে পরিচালকের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তার বরাতে জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, ‘হাসপাতাল সীমানার জমি সরকারি। সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ড হতে পারে না। তা ছাড়া বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতালে প্রবেশপথে জটলা করে। রোগীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন