বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ এএম আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২১ এএম

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরেই লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস এবং চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
করোনাকালীন অসুস্থতার পর তাকে আওয়ামী লীগ সরকার কারাগারের না পাঠিয়ে বাসায় থাকার অনুমতি দেন। মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর লন্ডনে তাঁর একবার চিকিৎসা হয়। এর বাইরে গত ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি এভোরকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন টানা ৩৮ দিন।
শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। এর আগে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা দিয়ে গাড়িতে ওঠেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি।
ঢাকায় নিজের বাসায় থাকা অবস্থাতেই ২০২১ সালের মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। তখনও শ্বাসকষ্টে ভোগার কারণে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের জুনে তাঁর হৃদপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়। তখনও তিনি মূলত হার্ট, কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছিলেন, যা তার শারীরিক অবস্থাকে জটিল করে তুলেছিল।
এর আগে থেকেই তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। আগে একটা রিংও পরানো হয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের জুনে পোর্টো সিস্টেমেটিক অ্যানেসটোমেসির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকি করেন। এই মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরবর্তীতে তা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন