সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল নগরীসহ জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার রবিবার, ১৬ জুন  ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে ঈদের জামাত শেষে তারা পশু কুরবানি দেন।

তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহসুফি দরবার শরীফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন।

বরিশাল নগরীর সাগরদীর তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকার জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হয়। মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার ইমামতিতে অনুষ্ঠিত নামাজে কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন।

নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিণা ফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে অনেকে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু।

নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজী বাড়ীর জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবারের লোকজন রবিবার কুরবানি দেন। একইভাবে বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা আগাম ঈদ পালন করে।

এছাড়া বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের শতাধিক পরিবার কুরবানি দেন।

জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামে আড়াই হাজার অনুসারী রয়েছেন।