Advertise top
পরিবেশ

বাঘ গুনতে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১১ এএম     আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৫ এএম

সুন্দরবনে ২য় পর্যায়ে বাঘ গণনা শুরু হবে আজ
সুন্দরবনে বাঘ। ফাইল ফটো

 

পূর্ব সুন্দরবনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ  রবিবার থেকে বাঘ গণনার কাজ শুরু হচ্ছে। এজন্য চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে বনের নির্ধারিত পয়েন্টে ৩০০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

 

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব জানিয়েছেন, চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া এলাকায় ‘ক্যামেরা ট্রাপিং’য়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হবে। এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রীর।

 

এর আগে প্রথম ধাপের বাঘ গণনার কাজ সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগে শেষ হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে বাঘ গণনার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

 

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর পরে গত ১ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু করা হয়।

 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের গণনায় সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পাওয়া যায়। এরআগে ২০১৫ সালের সুমারিতে বাংলাদেশে বাঘ ছিল ১০৬টি। তারও আগে ২০০৪ সালের সুমারি হয়েছিল পাগ-মার্ক অর্থাৎ পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে। তখন বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৩০টি।

 

বাঘ ধরার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপ পদ্ধতি কী?

 

 

বাঘ সাধারণত নিদির্ষ্ট ট্রেইল ধরে চলাচল করে। বাঘের সেই এলাকা ২০ কিলোমিটারের মতো। আর বাঘ নিজের এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যায় না বললেই চলে।

 

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যামেরার সামনে বাঘকে আকর্ষণ  করার জন্য বৃত্তের মতো খানিকটা জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে একটি ছোট্ট পাত্রে পানি রাখা হয়। আর একটি কাঠির মাথায় কাপড়ে বেধে রাখা হয় স্টিংক বম্বের দ্রবণ।

 

এই দ্রবণ থেকে অনেকটা পচা মাংসের মতো দুর্গন্ধ হয়। 'এই দুর্গন্ধই হল ফাঁদের টোপ। বাঘ যেহেতু অতিশয় উৎসুক প্রাণী, সেহেতু এই দুর্গন্ধই তাকে ক্যামেরার সামনে টেনে আনবে'।

 

যেসব জায়গায় বাঘ পানি খেতে যায় সেসব জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ ধরনের এই ক্যামেরা।

 

ক্যামেরার সামনে যা কিছুই নড়াচড়া করবে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারই ছবি ধারণ করবে। বাঘের ডোরা কাটা দাগের ধরণ আঙ্গুলের ছাপের মতোই স্বতন্ত্র। তাই বাঘের ডোরা কাটা দেখে প্রতিটা বাঘকে আলাদা করা যায়।

 

এভাবেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর বাঘ গণনা করা হয় বলেছে বিবিসি।

 


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal