বরিশাল বিদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম
১১.২ ওভার বাকি থাকতেই ১৯৩ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। সাকিব ও মুশফিকের লড়াইয়ে এক সময় মনে হয়েছিল লড়াকু পুঁজি পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের এক’শ রানের জুটি ভাঙার পর টপাটপ উইকেট হারায় দল। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশকে বেশি ভুগিয়েছেন হারিস রউফ। ৬ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন হারিস। ৫.৪ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন নাসিম। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
শরিফুল; ১/১০ উইকেট
শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নাসিম শাহ। তাকে বোল্ড করেন ডানহাতি পেসার।
আফিফ;১২/৯
নাসিম শাহর শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিডঅনে ক্যাচ দেন আফিফ। ১১ বলে ১২ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
তাসকিন; ০/৮
হারিসের চতুর্থ শিকার হন তাসকিন আহমেদ।
মুশফিক;৬৪/৭
হারিসের জোড়া সাফল্য, মুশফিক-তাসকিনের বিদায়
হারিস ফেরালেন ৬৪ করা মুশফিককে। বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি পেতে হলে তাকে থাকতে হতো ক্রিজে। শেষ পর্যন্ত খেলতে হতো। কিন্তু হল না। হারিস রউফকে দিলেন উইকেট।রিজওয়ান ঠিকঠাক ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিককে।
মুশফিকের ইনিংস ছিল ৫ বাউন্ডারিতে ৮৭ বলে ৬৪ রানের।
শামীম;১৬/৬
শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ফাইন লেগ দিয়ে বিশাল ছক্কা উড়িয়ে বড় কিছুর আভাস দিয়েছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু ওই আভাসেই থেমেছে তার ইনিংস। পরের ওভারে স্পিনার ইফতেখার আহমেদকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। ২৩ বলে ১৬ রান করে আউট হন শামীম। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
মুশফিকের ৪৬তম ফিফটি
সাকিবের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন মুশফিকুর রহিমও। তার পুরস্কারও পেলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মনোযোগী ব্যাটিংয়ে মুশফিক পেয়েছেন ৪৬তম ফিফটি। ৭১ বলে ৪ চারে এ ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। ধীর গতির হলেও তার ইনিংসটি ছিল যথেষ্টা কার্যকরী। আপাতত তার ক্রিজে থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
সাকিব: ৫৩/৫
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কাটায় কাটায় একশ রানের জুটি গড়লেন সাকিব আল হাসান। যা ছিল তাদের পঞ্চম শতরানের জুটি। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে সাবলীল ব্যাটিংয়ে সাকিব নিজেও পেয়ে যান ব্যক্তিগত ফিফটি। এরপরই পথ হারা।
পেসার ফাহিম আশরাফের বাউন্ডার পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে সীমানায় ক্যাচ দেন সাকিব। সেখানে ফখর জামান রানিং ক্যাচ নিয়ে বিদায় করেন বাংলাদেশের অধিনায়ককে। ৫৭ বলে ৭ চারে ৫৩ রানের ইনিংসটি খেলেন সাকিব। তাদের জুটির একশ রান এসেছিল ১১৯ বলে। ১৪৭ রানে বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
সাকিবের ফিফটি
দল ছিল বিপদে। সাকিব আক্রমণে গিয়ে খেলে রান পেয়েছেন অনায়েসে। ৫৩ বলে বাংলাদেশের অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ফিফটি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫তম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। ৭ চারে সাজিয়েছেন এই ইনিংস।
বাংলাদেশ: ১০০/৪
৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়ে যান তাঁরা। নিজেদের ২০তম পঞ্চাশ জুটি তুলে নিয়েছেন তারা। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ১৯টি পঞ্চাশ রানের জুটি আছে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
বাংলাদেশ: ৪৯/ ৪
পাওয়ার প্লে’তে ১০ ওভার হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ৪৯ রান। এরপর ১০.২ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাওহীদ: ২/৪
আগের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন। পজিশন ঠিকঠাক ছিল না। কিন্তু এবার নিজের পজিশনে নেমেও হতাশ করলেন তাওহীদ হৃদয়। হারিস রউফের স্টাম্পের ওপরের সোজা বল মিস করে তাওহীদ আউট হলেন ২ রানে। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নাঈম: ২০/৩
হারিস রউফ আসলেন অষ্টম ওভারে। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করে নাঈম ফিরলেন রউফ এল বলে। ড্রেসিংরুমে। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়।
সাজঘরে লিটন:১৩/২
মিরাজ আউট হওয়ার পর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। ১৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ১৬ রান করা লিটন শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন। ৪.৫ ওভারে দলীয় রান ৩১/২।
মিরাজ : ০/০
নাসিম শাহের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
নাসিম শাহের শর্ট অব লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন মিরাজ। তার বিদায়ে ১.১ ওভারে ০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১১২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে সুপার ফোরে তুলে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মিরাজ।
আফগান পরীক্ষায় সফল হওয়ার কারণে পাকিস্তান ম্যাচেও মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়। এদিন সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান- বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব, মুশফিকুর রহিম, শামীম পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, সালমান আলী আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন