Advertise top
বিদেশ

সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে খুন

বরিশাল বিদেশ ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ পিএম    

সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে খুন
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ

ইরানে হামাস নেতার সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ ও তার দেহরক্ষীকে খুন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড পৃথক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।

 

হানিয়াহের মৃত্যুতে ইসলামপন্থী দলটি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।

 

হামাস যোদ্ধাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হানিয়াহ মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর আজ ভোরে তার সদর দপ্তরে হামলা চালালে তিনি ও এক দেহরক্ষী নিহত হন।

 

এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শীঘ্রই হানিয়াহের হত্যার তদন্ত করা হবে।’

 

ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার,৩১ জুলাই সকালে তেহরানে তার নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টাইমস অব তেহরান। তবে এখন পর্যন্ত কেউই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

 

 

ইসমাইল হানিয়া কে?

 

ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধানের পদে থাকলেও তাকেই এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মনে করা হয়।

 

১৯৬৩ সালের ২৯ জানুয়ারি গাজা উপত্যকার আল-শাতি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন ইসমাইল হানিয়া। ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় তার বাবা-মা বর্তমান ইসরায়েলের অন্তর্গত আসকালানের নিকটের বাড়ি থেকে উদ্বাস্তু হন। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি হামাসে যোগ দেন।

 

১৯৮৫ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিনিধি ছাত্র কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন হানিয়া। বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে ইসরায়েলে স্বল্পকালীন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। ১৯৮৮ সালে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং ছয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

 

গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি সুন্নি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ১৯৮৯ সালে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তার পদমর্যাদা বাড়ে।

 

ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গাজায় মাহমুদ আব্বাসের দল ফাত্তাহর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হানিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে হানিয়ে ওই সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, তার সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের জাতীয় দায়িত্ব থেকে সরবে না এবং তিনি গাজা শাসন করতে থাকেন।

 

পরে ২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়াকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। কয়েক বছর ধরে ইসমাইল হানিয়া কাতারে বসবাস করে আসছিলেন।


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal