বরিশাল নিউজ বিদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগষ্ট ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
ভারতের লোকসভায় আজ ২০ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে সাংবিধানিক সংশোধনী বিল উপস্থাপন করছেন, তাতে বলা হয়েছে—প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীরা যদি গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হাজতে থাকেন, তবে ৩১তম দিন থেকে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ হারাবেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় না এলেও এই বিধান কার্যকর হবে।
সরকার দাবি করছে, এই পদক্ষেপ দুর্নীতি ও অপরাধে জড়িত রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেবে এবং জনমানসে আস্থা ফিরিয়ে আনবে।
কিন্তু বিরোধী শিবিরে এই বিল ঘিরে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মুকুল সিংভী অভিযোগ তুলেছেন, এটি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের হঠাতে সবচেয়ে সহজ অস্ত্র। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানো যাবে। অথচ শাসকদলের কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে কখনওই ধরা হবে না।
তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে লিখেছেন, সংবিধান রক্ষার বদলে সরকার ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, গরিবদের উন্নয়নে যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে এখন বিরোধীদের দমন করাই প্রধান লক্ষ্য।
মহুয়া মৈত্রও বলেন, মাত্র ২৪০ সাংসদ নিয়ে বিজেপি সংবিধান বদলে ফেলছে। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের ভুয়া মামলায় গ্রেফতার করে সরিয়ে দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিল সংসদে পাশ হলে ভারতের ফেডারাল কাঠামো ও বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। সরকারের যুক্তি, দোষী হলে তবেই পদ হারাবে নীতি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রক্ষা করছে। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অচল করে দেওয়ার চক্রান্ত।
আজকের অধিবেশনে তীব্র হট্টগোলের মধ্যে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হতে পারে। তবে বিরোধীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে—প্রয়োজনে টেবিল ভাঙব, বিল ছিঁড়ে ফেলব। ফলে লোকসভায় আগামী কয়েকদিন উত্তাল বিতর্কের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: অনলাইন নিউজ
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন