Advertise top
বিএনপি

খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৯ পিএম     আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২২ পিএম

খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

 

চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরআগে রবিবার রাতে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছিল।

 

মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সোমবার সকালে তাকে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গতকাল মধ্যরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে।

 

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

 

গত ৯ আগস্ট থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।

 

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ জুন রাত পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

 

গত বছরের ১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুটি ব্লক এখনো রয়ে গেছে।

 

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।

 

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। গত বছরের ২২ আগস্টও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর ২৮ আগস্ট ফের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয়। দুদিন হাসপাতালে থাকার পর ৩১ আগস্ট বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

 

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal