বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
বরগুনায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ। সেই ঘটনায় ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
হামলার ঘটনায় দুই বছর পর চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নঈমুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন: বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল বারি আসলাম, মো. মজিবর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মজিবুল হক, হুমায়ুন কবির পল্টু, জুনায়েত হোসেন জুয়েল, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমরান হোসাইন, সাইমুল ইসলাম রাব্বি, আবদুর রহমান জুয়েল ও আমিরুল ইসলাম মিলন। তারা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন।
আসামিরা মঙ্গলবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. সাইফুর রহমান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. নুরুল আমীন।
মামলার বরাতে পিপি নুরুল আমীন বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৫৮ নেতাকর্মী বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে নয় লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২ জুলাই আসামিরা হাই কোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে তারা ২১ জুলাই বরগুনার জেলা ও দায়রা আদালতে জামানত নামা প্রদান করেন। জামিনের মেয়াদ শেষের আগেই ২৪ জুলাই আসামিরা আবার জামিনের আবেদন করেন।
বিচারক নথি তলব করে জামিন শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান পিপি নুরুল আমীন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া ও হাবিবুর রহমান বলেন, একই আদালতে আবারো জামিনের আবেদন করা হবে। আসামিরা প্রত্যেকেই কোর্টে নিয়মিত কর্মরত আছেন। তাদের পালানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।
মামলাটি দুই বছর আগের রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে করা; এ ছাড়া আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগের সদস্যও নন বলে জানান হাবিবুর রহমান।
যিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন, তারও রাজনৈতিক কোনও পরিচয় নেই বলে দাবি এই আইনজীবীর।
পিপি নুরুল আমীন বলেন, “মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়ায় জামিন অযোগ্য। আসামিরা দোষী বা নির্দোষ তা বিচারের সময় আদালত দেখবেন।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন