Advertise top
চিকিৎসা

শেবাচিম হাসপাতালে কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম ইন্টার্নদের

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ১৩ আগষ্ট ২০২৫, ১০:২৬ পিএম    

শেবাচিম হাসপাতালে কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম ইন্টার্নদের
বরিশালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক প্রতিনিধি, ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিময়। ছবি: বরিশাল নিউজ

এবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

 

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের উপস্থিতিতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক অঙ্গনের প্রতিনিধিসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাত দফা দাবি পেশ করে এ আল্টিমেটাম দেন।

 

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি নাজমুল হুদা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আমরাও চাই। তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক পথে যৌক্তিকভাবে হোক। তবে আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট ভোগান্তি আমরা সাপোর্ট করতে পারছি না।

 

তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বিকেল ও রাতে সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি সময়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। যেখানে গত ৩ আগস্ট শিশু বিভাগে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের ওপর মব তৈরির মাধ্যমে হয়রানির ঘটনা ঘটে এবং ওয়ার্ডে ভাঙচুর করা হয়। এরপর ৬ আগস্ট সার্জারি ইউনিট-৩ এ রোগীর ছাড়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার লোকজন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। ১০ আগস্ট সার্জারি-২ ইউনিটে ভর্তি না হয়েও জোরপূর্বক চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এভাবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে ৮টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়।

 

তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কাজের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং চিকিৎসকরা সঠিকভাবে দায়িত্বপালনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এ দাবিগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না পেলে এবং চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা হয়রানির শিকার হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাবে।

 

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- ১. কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ২. অ্যাডমিশন এবং পোস্ট অ্যাডমিশন ওয়ার্ডে আনসার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ৩. হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ দর্শনার্থী কার্ডের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একজন রোগীর সঙ্গে একজন দর্শনার্থী থাকতে পারবে; ৪. হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ক্যাজুয়ালটি বিভাগকে কার্যকর এবং উন্নত করা; ৫. হাসপাতালের সব পরীক্ষা নিরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব পরীক্ষা চালু নেই সেগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা; ৬. হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৭. হাসপাতালের বেড সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বেড সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

 

এদিকে ইন্টার্নদের এমন আল্টিমেটামের হুঁশিয়ারির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,  সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে, সুতরাং সময় দিতে হবে।


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal