Advertise top
রাজনীতি

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৫

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০০ পিএম       

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৫
গোপালগঞ্জে সেনাসদস্যদের এ্যাকশন। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি (৩৫) মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে।

 

রমজান মুন্সি (৩৫) গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়ার আকবর মুন্সির ছেলে। এর আগে, বুধবার, ১৬ জুলাই ঘটনার দিন চার যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেদিন আহত হন সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক মানুষ।

 

অন্য নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), মৌলভীপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার ইন্দ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (৩৫)।

 

বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় গোপালগঞ্জবাসী, ছাত্রলীগসহ ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। গোপালগঞ্জ কারাগারেও হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়। সংঘর্ষে সেনাসদস্যদের গুলিতে বুধবারই চারজন নিহত হন। গুলিবিদ্ধহয়ে  হাসপাতালে ভর্তি হন অনেকে। তাদের মধ্যে ঢাকায় মারা যান রমজান মুন্সি।

 

এনসিপির সমাবেশের আয়োজন ছিল গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে। এ নিয়ে সেখানে সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়। কিন্তু আগের রাতে এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ও‘ বঙ্গবন্ধুর সমাধি ভাঙ্গা’র ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে গোপালগঞ্জে উত্তেজনা দেখা দেয়।

 

এ ঘটনায় সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন , সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগকর্মীরা। দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

 

এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীরা সেখানে যায় এবং সমাবেশ করেন। কিন্তু সমাবেশ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকর্মীরা এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায়।

 

এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলী‌গের লোকেরা। তখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

 

এসময় অনেক সাংবাদিকও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। পরে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপির নেতাদের উদ্ধার করে তাদের সাজোয়া যানে তুলে নিরাপদ স্থারে পার করে দেয়। সেখান থেকে নেতারা  খুলনার উদ্দেশে রওয়ানা হন।

 

জুলাই মাসজুড়ে জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছে কেন্দ্রীয় এনসিপি। এরই অংশ হিসেবে আজ তারা গোপালগঞ্জে ‘লং মার্চ’ ও সমাবেশ করতে গিয়েছিলেন।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal