বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮ পিএম আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর জামিনে কারামুক্ত হলেন তারা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা মুক্তি পান।
সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত মির্জা ফখরুল
সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে তিনি বেরিয়ে আসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন। মির্জা ফখরুল বেরিয়ে আসার পর তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এ সময় তারা গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তার গাড়িতে। পরে মির্জা ফখরুল সাদা রংয়ের পাজেরো গাড়িতে করে উত্তরার বাসার দিকে রওয়ানা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা ওই গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার সকালে মির্জা ফখরুলের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়। কারাগারে তার জামিননামা ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিন দুপুরে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, সব মামলায় মির্জা ফখরুলের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১০৫ দিন পর কারামুক্ত আমির খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ ১০৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় তিনি মুক্তি পান।
জামিনের কপি ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের চিঠি পৌছলে কেরানীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন।
আমির খসরু কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি কালো পাজেরো গাড়িতে করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। নেতাকর্মীরা এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন।
এ সময় আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ইসরাফিল।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। হামলা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সেই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর গুলশানের নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন