প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১২ পিএম আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম
বরিশালে নৌকার নির্বাচনী অফিসে বিএনপি আগুন দিয়েছে এর কোন প্রমান এখনও পাওয়া যায়নি। এটা পরাজিত স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কাজ বলে অভিযোগ করেন নৌকাপ্রার্থী জাহিদ ফারুক।
বরিশাল-৫ আসনে শুক্রবার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাটনা গ্রামে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচণী অফিস ভাঙচুর এবং রাতে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নৌকাপ্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে আজ শনিবার বরিশাল প্রেসক্লাবে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকামার্কার প্রার্থী জাহিদ ফারুক এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন। সেখানে এই অভিযোগ তোলেন নৌকা প্রার্থী।
এরআগে শনিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে রিপন বলেন, নৌকা প্রার্থী জাহিদ ফারুখ শামীমের অনুসারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আমি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ কোনো অন্যায় কর্মকাণ্ড করিনি। আমার নামে বরিশালের কেউ এরকম অভিযোগ তুলতে পারবে না । এমনকি ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরিশালের জনসভায় লাখো মানুষের সামনে আমার প্রশংসা করেছেন। তাকে এভাবে মূল্যায়ন করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশ্ন করেন, “আমি এত বছর সুনামের সাথে কাজ করে এখন কেন সেই সুনাম নষ্ট করবো?
তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী রিপন সম্পর্কে বলেন, ওই প্রার্থী এতদিনতো ভদ্রভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ২ জানুয়ারির পর তার উপদেষ্টার পরামর্শে হঠাৎ তিনি মারমুখি হয়ে উঠেছেন। জাহিদ ফারুক,মহানগর আওয়ামী লগের সেক্রেটারি ও সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে ইঙ্গিত করে বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিপূর্ণভাবে বাদ পড়ার পরই কিন্তু সমস্যা শুরু হয়েছে! এখন সেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী আরেক স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ট্রাকের ওপর ভর করেছে। তারপর থেকেই তারা মারমুখী।’
নগরীতে নৌকার নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের পিছনে বিএনপি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানে নাশকতার সাথে বিএনপি জড়িত থাকলেও বরিশালের ঘটনার পিছনে বিএনপি জড়িত থাকার প্রমান এখনও পাওয়া যায়নি। বরং যারা বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, নগরীতে চাঁদাবাজি করেছে, তারা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা সূক্ষ্মভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন রিপনের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুক্রবার চরবাড়িয়ায় সাধারণভাবে নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে ফিরছিলেন নৌকার সমর্থকরা। তখন বহরে থাকা পিছনের দুই জনকে মোটরসাইকেল থামিয়ে মারধর করে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে র্যাব- পুলিশ তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের লোকেরা হামলা করতে যেত তাহলে ওই বহরের প্রথমে যারা মোটরসাইকেল চালিয়ে গেছে তারাই তো হামলা করত। তাহলে তারাও সবাই আহত হতো। কিন্তু তারা নাটক সাজিয়ে নিজেদের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে নিজেরাই ভাঙচুর করে। ওইখানে যে সিসি ক্যামেরাটি ছিল সেটিও অন্যদিকে ঘুরানো ছিল। যাতে ফুটেজ না ওঠে।
তিনি এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করার জন্য বরিশালবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজালুল করিম এবং সাবেক দপ্তর সম্পাদক লস্কর নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন