মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পিরোজপুরে বড় ছেলের কবরের পাশেই দাফন করা বলে জানিয়েছে পিরোজপুর জেলা জামায়াত নেতা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জানাজা শেষে দ্রুত দাফন করার নির্দেশ দিয়েছে প্রসাশন।

মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট সকালে জেলা পুলিশ সুপারের বরাতে পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক জানান, হুজুরের লাশ লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে পিরোজপুরে আনা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে লাশ পৌঁছানোর পর দ্রুত জানাজা শেষ করে দাফন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পর দিন সোমবার, ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

ঢাকায় গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না

ঢাকার মিন্টু রোডে মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট সকালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু এবং পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব চালিয়েছে। এ কারণে বুধবার, ১৬ আগস্ট ঢাকায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে বেশ কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে।

তিনি বলেন, ফজরের নামাজের পর তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে দখল করে নেয়। ফেসবুকে লাইভ দিয়ে সবাইকে এখানে চলে আসতে বলে। পরে বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সীমিত শক্তি প্রয়োগ করে।