বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকা থেকে রহস্যজনক ভাবে একইদিনে পাঁচ কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। ওই কিশোরীরা বুধবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বলে জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। তবে তিনজন কিশোরী নিখোঁজের সত্যতা পাওয়া গেলেও অপর দুইজনের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরীর অভিভাবকদের ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে নিখোঁজ অপর কিশোরীর অভিভাবকরা।

নিখোঁজ এক কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে তার অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি বাটাজোর এলাকা থেকে আরও চারটি মেয়ে একইদিনে নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একইদিন বিকেলে নিখোঁজ হওয়া এক মেয়ে তার মাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় তারা পাঁচজন একত্রে রয়েছে। কিন্তু তাদেরকে না জানিয়ে রাত দশটার দিকে তার কথিত স্বামী আগরপুরের বাসিন্দা জাকিরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে তাদের সন্দেহ হলে হেলেনুর ও জাকিরকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

নিখোঁজ মেয়েদের অভিভাবকদের ধারনা তাদেরকে পাচারের জন্য কোথাও আটকে রাখা হয়েছে।

দেওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশা হাওলাদার বলেন,ওই দুইজনকে আটকের খবর জানতে পেরে ছুটে এসেছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে হেলেনুর ও তার স্বামী জাকির সরদার বলেন, আমাদের পালিত মেয়েও নিখোঁজ রয়েছে। কোথায় আছে তাও জানিনা। অন্যদের নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।

গৌরনদী মডেল থানার এসআই সাহাবুদ্দিন জানান, খবর পেয়ে বুধবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে।