Advertise top
ফুটবল

২২ বছরের আক্ষেপ ঘুচল: মোরসালিনের গোলে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক, বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম       

ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয় হাতছাড়া করার সেই পুরোনো গল্প এবার আর ফিরল না। দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেখ মোরসালিনের দুর্দান্ত এক গোলে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (আজ) ঢাকার জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এই ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলের পর এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

মোরসালিনের জাদুকরী মুহূর্ত ম্যাচের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দেয় বাংলাদেশ। ১১তম মিনিটেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ভারতের আকাশ মিশ্রকে কাটিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। ডি-বক্সে তার আলতো ক্রসে ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং এগিয়ে এসেও বলের নাগাল পেতে ব্যর্থ হন। আর সেই সুযোগে ক্ষিপ্র গতিতে ‘ছোবল’ মেরে বল জালে জড়িয়ে দেন শেখ মোরসালিন। গ্যালারিতে তখন বাঁধভাঙা উল্লাস।

রক্ষণভাগের দৃঢ়তা ও হামজার বীরত্ব ম্যাচের ২৭ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তারিক কাজীকে, তার বদলে নামেন শাকিল আহাদ তপু। এর চার মিনিট পরেই গোলরক্ষক মিতুল মারমার ভুলে বড় বিপদ হতে পারত। ডি-বক্সের বাইরে ভুল পাসে বল পেয়ে যান ভারতের লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। তবে তার নেওয়া শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় হেড করে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচান হামজা।

ম্যাচে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল বেশ। তপু বর্মনের ফাউলকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় রেফারি তপু ও ভারতের নারাভি নিখিল প্রভুকে হলুদ কার্ড দেখান। প্রথমার্ধের শেষদিকে হামজার ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় বাংলাদেশ।

মিতুল মারমার প্রাচীর হয়ে ওঠা প্রথমার্ধে বাংলাদেশের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধের চিত্র ছিল ভিন্ন। সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত একের পর এক আক্রমণ শানায়। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ছিল ইস্পাত-দৃঢ়। ৬৫ মিনিটে ভারতের মোহাম্মদ সানানের জোরালো শট ও শেষদিকে মহেশ সিংয়ের ভলি রুখে দিয়ে পোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। যোগ করা সময়েও ভারতের প্রবল চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ২২ বছরের জয়-খরা কাটানোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলে নিঃসন্দেহে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা।

 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal