বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আরো এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাহিয়া তাসনিম (১৫)। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় শিশুটি। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১ জনে।
একই দিন দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে শরীরের ৮৫ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাহতাব রহমান (১৫)। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা গেছে, এ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫১ জন ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪২ জন, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৮ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন রয়েছে। মৃত ৩১ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও পাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১৩ জন, ঢাকা সিএমএইচে মারা গেছেন ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ১ জন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে মারা গেছেন ১ জন, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডে মারা গেছেন ১ জন।
সোমবার দুপুরে দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে যুদ্ধ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু।
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের নাম প্রকাশ করেছে সরকার
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহতদের নাম প্রকাশ করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহতের নাম প্রকাশ করেছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯ জন। আর আহতদের মধ্যে ৫৭ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রেস উইং জানায়, নিহত ২৯ জনের মধ্যে সাতজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহত আরো পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে সিআইডি
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আরও পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব।
সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, সিআইডি ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পাঁচটি মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
পাঁচ মৃতদেহের মধ্যে রয়েছে: ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তারের মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. বাবুল ও মাজেদার মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া, মো. আব্বাস উদ্দিন ও মিনু আক্তারের মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া, মো. শাহাবুল শেখ ও মিমের মেয়ে রাইসা মনি এবং আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তারের মেয়ে মারিয়াম ওরফে আফিয়া।
সূত্র: বাসস
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন