বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ আগষ্ট ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম আপডেট : ০২ আগষ্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম, ইসলামি ছাত্র শিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরফলে স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটি বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ধারা ১৮ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ-সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হল।
জামায়াত ইসলামের নিষিদ্ধ হবার খবরটিকে ইত্তেফাক শিরোনাম দিয়েছে, ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন।’
খবরে ইত্তেফাক জানায়,সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ধারা ১৮ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ-সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হল।
নিউজের সাথে ২০২২ সালের জামায়াত নেতা গ্রেপ্তারের একটি ছবি প্রকাশ করে পত্রিকাটি।
ইত্তেফাক আরো জানায়, ২০১৩ সালে আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। সেসময় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। এতে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
প্রথম আলোর শিরোনাম, ‘জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি’
খবরে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো।
সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
আজ দুপুরে আইনি মতামত দেওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই দলগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত ও এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সরকারের মন্ত্রীরা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন ওই জোটের শীর্ষ নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সেই বৈঠক হয়। জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলো।
আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু কয়েক বছর আগে সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হলেও পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, এ বিষয়ও তাঁরা এগিয়ে নেবেন। তিনি গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ করেছে। সেই সময়ের দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিচার করার ব্যাপারেও সরকার এখন উদ্যোগ নেবে। সে জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্যও তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন।
একাত্তর এর অনলাইন শিরোনাম করেছে, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ। খবরে বলা হয়, স্বাধীনতার পর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু পরে সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের সময় আবার রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পায় জামায়াত।
এরপর প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার পর সে দাবি আরো জোরালো হয়।
যুদ্ধাপরাধীরে বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। সেখানে একটি রায়ে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল দল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া আরেকটি মামলায় রায়ের ফলে গণ প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারায় জামায়াতে ইসলামী। এরপর গত তিনটি নির্বাচনে ভোটে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন