বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০১:২০ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনা কারা, কেন ঘটিয়েছিলেন তা জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্ত আহবান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি এই সময়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার দেশটাকে পিছিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার,৩১ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কষ্টের বিষয় হলো, এটা কোনো ইস্যুই ছিল না। যে কোটা আমি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছিলাম তা হাইকোর্টের রায়ে আবার নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। কাজেই আবার সেই কোটা ফিরে আসে। পরে সব দাবি তো মানাই হলো৷ তারপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যা যা ঘটেছে, এত প্রাণ যাবে৷ এটা ভাবতেও পারিনি আমি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দিক থেকে কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখিনি আমি৷ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি৷ স্থাপনা হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে, ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেলো, তারা তো আর ফিরবে না৷
তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা। আজকে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন