বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ১১:৩৭ পিএম
বরিশালে গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দিনে ৩/৪ বারে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মেলে না। অসহনীয় গরমের মধ্যে এই লোডশেডিং-এ শুধু নগরীতে নয়, হচ্ছে গ্রামেও।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখায় এমন সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রটির সহকারী ব্যবস্থাপক (তদন্ত) শাহ মণি জিকো সাংবাদিকদের বলেন, এর সমাধান হতে এক সপ্তাহ লঅগতে পারে।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা (ওজোপাডিকো)। এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিভাগের ৬ জেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন ৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে বরিশাল নগরীতে রয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার। উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। পবিসের আওতায় গ্রাহক আছেন প্রায় ২১ লাখ ৬৫ হাজার।
ওজোপাডিকো বরিশাল অঞ্চলের পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আবদুল মজিদ আজ বলেন, ‘আমাদের চাহিদা ১০০ মেগাওয়াটে। সেখানে পাচ্ছি ৭০ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং দিয়ে তা ম্যানেজ করতে হচ্ছে।’
ওজোপাডিকোর বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান জানান, সাড়ে ৬ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট।
ভোলায়ও একই অবস্থা। সেখানে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে ১৩০ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৯৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ওজোপাডিকোর চাহিদা ভোলা সদরে ২২ মেগাওয়াট। ফলে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত ওজোপাডিকোর গ্রাহকদের মোট এক ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। বাংলাদেশ-চায়না বিদ্যুৎ কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২২ সালের মার্চে উৎপাদনে যায়। বুধবার থেকে কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন