বরিশাল নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৬ এএম
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ১৫৯/৫ (২০ ওভার)
নেদারল্যান্ডস: ১৩৪/৮ (২০)
ফলাফল: ২৫ রানে দারুণ জয় বাংলাদেশের।
রিশাদের ঘূর্ণিজাদুতে জয় দেখছে বাংলাদেশ
রিশাদের ঝুলিতে আরও একটি উইকেট। এবার নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরলেন। বিককে ফেরান মাত্র ২ রানে। আগের দুই ওভারে ১৯ রান দেওয়া এই লেগি পরের দুই ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তাতে ম্যাচের নাটাই চলে আসে বাংলাদেশের হাতে।
ডেথ ওভারে ১ রানে মোস্তাফিজের ১ উইকেট
দুর্দান্ত মোস্তাফিজের দেখা মিলল ডেথ ওভারে। ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। রানটি আসে ওয়াইড বলে। এ ছাড়া আর কোনো রান নিতে পারেনি তার বলে। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি।
রিশাদের জোড়া উইকেট
৩১ বলে ৪২ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ। বাংলাদেশের হুমকি হয়ে দাঁড়ানো সিব্র্যান্ডকে ফেরান তিনি। ২২ বলে ৩৩ রান করেন এই ব্যাটার। শুধু তাই নয় এক বল ডট দিয়ে ফেরান বাদ ডী লিডকে। অবশ্য এতে লিটনের অবদান বেসি। দারুণ স্ট্যাম্পিংয়ে লিডকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আগের ২ ওভারে ১৯ রান দেওয়া রিশাদ এবার ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বোলিংয়ে এসেই স্বস্তি এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ
মাত্র ২৩ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে চোখ রাঙাচ্ছিলেন বিক্রম-এঙ্গেলব্রেখট। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কাউকে ছাড় দেননি। ১০ম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। তাতেই বাজিমাত। ফেরান ১৬ বলে ২৬ রান করা বিক্রমকে। ক্রিজে এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গী অ্যাডওয়ার্ডস।
তাসকিন-তানজীমে পাওয়ার প্লেতে দারুণ বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডস ৩৭ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। তাসকিনের পর তানজীম সাকিবের আঘাতে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ডাচ শিবির। তানজীমের কাটারে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাক্স, কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। সোজা আসে তানজীমের হাতেই। দ্রুতগতিতে এলেও তানজীম বল ছাড়েননি। ১৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন ম্যাক্স। ক্রিজে এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গী বিক্রমজীত।
তাসকিনের তোপে প্রথম উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ
প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম ওভার পর্যন্ত! শর্ট বলে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন লেবিট। কিন্ত টাইমিংয়ে গড়বড় করে বল তুলে দেন আকাশে। পয়েন্টে ক্যাচ ধরেন হৃদয়। ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারালো নেদারল্যান্ডস ।
দুর্দান্ত সাকিবে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে। সাকিব সর্বোচ্চ ৬৪ ও জাকের আলী অনিক ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুজনে মাত্র ১৫ বলে ২৯ রান করেন। ৯টি চারের মারে সাকিবের ইনিংসটি সাজানো ছিল। এ ছাড়া তানজীদ ৩৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আরিয়ান-মিকিরিন।
ফিফটিতে সাকিবের কামব্যাক
ব্যাটে-বলে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ। চারদিক থেকে ছুটতে থাকে সমালোচানার তীর। সাকিব সময় বেশি নেননি। ফিফটিতে ব্যাট হাতে কামব্যাক করলেন। ৩৮ বলে দেখা পান ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটির। টি-টোয়েন্টিতে ৩২তম ফিফটি এটি।
১৫ বলে ৯ রান করে বোল্ড হৃদয়, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
প্রিঙ্গেলকে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু বল স্কিড করে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও এবার পারলেন না হৃদয়। ১৫ বলে ৯ রান করেন তিনি। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ ১৪ ওভারে শতরান পার করে।
তানজীদের বিদায়
মিকিরিনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজীদ। শুরুতে ২ উইকেট পড়লেও দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ২৬ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে গড়া জুটি থেকে আসে ৩২ বলে ৪৮ রান। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী হৃদয়।
এক ওভারে সাকিবের ১৯, পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৫৪
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে নিস্প্রভ থাকার পর আজ তাকে দেখা যাচ্ছি উদ্দীপ্ত। ভ্যান বিককে ১ ওভারে চারটি চার মারেন সাকিব। নেন ১৯ রান। অন্যপ্রান্তে থাকা তানজীদও খেলছেন দারুণ। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান করে। তানজীদ ২৪ বলে ৩৫ ও সাকিব ১৯ বলে ২৮ রানে ব্যাট করছেন।
শান্তর পর ১ রানে লিটনের বিদায়
কিংমার করা আগের ওভারে তানজীদ নেন ১৮ রান। পরের ওভারে এসে অহেতুক মারতে গিয়ে ফেরেন লিটন। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন এঙ্গেলবেটের হাতে। দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন তিনি। মাত্র ১ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। পরপর শান্ত-লিটনের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী সাকিব।
অহেতুক রিভার্স সুইপ!
প্রথম ওভারে ৩ রান দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ওভারেই ছন্দপতন। স্পিনার আরিয়ানকে দ্বিতীয় ওভারে এনেই বাজিমাত করে ডাচ শিবির। দ্বিতীয় বলে অহেতুক রিভার্স সুইপ করে বসেন শান্ত। ফল ফেলেন হাতেনাতে। স্লিপে ধরা পড়েন মাত্র ১ রানে। ৩ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী লিটন।
মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস
কিংস টাউনের আরনেস ভেল স্টেডিয়ামে আজ টি-২০ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেদারর্যান্ডস।
টি-২০ বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট খেলতে দুই দলের হেভিওয়েট লড়াই শুরু হওয়ার কথা ছিল রাত সাড়ে ৮টায়। কিন্তু বৃষ্টির কারনে ১৫ মিনিট দেরীতে খেলা শুরু হয়েছে।
টস হেরে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ দল। আজ যে দল জিতবে, তারাই সুপার এইটের পথে পাইপ লাইনে উঠে যাবে।
ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি আছে। ২০০৯ সালে এখানে টেস্ট জিতেছেল বাংলাদেশ দল। সে দলের দুই সদস্য সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ এবারের বিশ্বকাপ দলেও আছেন। তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার ভাগ নিচ্ছেন দলের বাকিরা।
সে প্রসঙ্গ তুলে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সম্ভবত প্রথম অধিনায়কত্ব এই মাঠ থেকে শুরু হয়। সাকিব ভাই বলছিল, মাশরাফি ভাই চোটে পড়েছিলেন। রিয়াদ ভাইয়ের সম্ভবত ৫ উইকেট আছে টেস্টে। হ্যাঁ আলাপ হয়েছে মাঠ সম্পর্কে।’
শ্রীলংকার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ২ উইকেটে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো টাইগাররা। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে বাংলাদেশ।
কিন্তু টি নেদারল্যান্ড-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডসকে দু’বার হারিয়েছে টাইগাররা। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় এবং ২০২২ সালে হোবার্টে ডাচদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চারবারের সাক্ষাতে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, জাকের আলী, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নেদারল্যান্ডস একাদশ
মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও'ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, স্কট এডওয়ার্ডস (ক্যাপ্টেন), বাস ডি লিড, লোগান ভ্যান বিক, টিম প্রিঙ্গল, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মেকারেন, ভিভিয়ান কিংমা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন