বরিশাল নিউজ ঢাকা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১০ পিএম আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম
ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তার নাম কনস্টেবল পারভেজ। বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরে।
এছাড়া পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ও আন্দোলনকারীসহ ৪০ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকলে কলেজ (ঢামেক)হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার প্রায় সব পত্রিকার অনলাইনভার্সনে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মিডিয়ায় পুলিশ নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই পুলিশ সদস্যের নাম ও পদবী জানা যায়নি।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, বেলা এগারোটার পর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ জন আহত হয়ে এসেছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেককে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া নহয়েছে। তিনি জানান, হাতে, পায়ে, মাথায়সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফেলা, বিভিন্ন ধরনের জখম, কাটা গুলিসহ বিভিন্নভাবে তারা আহত হয়েছেন। বিকেলের দিকে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এতে আহত ৪১ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া ঢামেক হাসপাতালে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৬ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
সমকাল লিখেছে, রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সমকাল আরেক খবরে লিখেছে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে এ আগুন দেওয়া হয়।
পুলিশ হাসপাতালে হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন পুলিশের ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশ হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
একাত্তর লিখেছে, কাকরাইলে বিচারপতির বাসভবনে হামলা করে বিএনপি।
ডিবির হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও ভাঙচুর চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট ভেঙে তারা ভেতরে ঢুকে পড়েছিল।’
ইত্তেফাক লিখেছে, সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর ও পল্টন এলাকায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ইত্তেফাকের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন ইত্তেফাক মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার শেখ নাছের ও তানভীর আহাম্মেদ। দৈনিক বাংলা মোড়ে ফেসবুকে লাইভ চলাকালে তানভীরের ওপর হামলা করা হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর কাকরাইল মোড়ে শেখ নাছেরের ওপর হামলা করা হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
শেখ নাছেরের ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সমকালের সাংবাদিক মামুন সোহাগ বলেন, ‘কাকরাইলে আমরা (সাংবাদিকরা) ফুটেজ সংগ্রহ করছিলাম। হঠাৎ করে একজন মধ্যবয়সী লোক, ৪০ বছর হবে, তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ছোটভাই এখানে কী হচ্ছে। শেখ নাছের বললেন, এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ হচ্ছে। আমরা লাইভ কাভারেজ দিচ্ছি। পর পরই কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে ওই লোক। সে তখন বলতে থাকে-অ্যাই ইত্তেফাকে বিএনপির বিপক্ষে নিউজ করা হচ্ছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন