বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারের বেতন প্রায় ৯ মাস বন্ধ রেখে , তার জায়গায় নতুন নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায়,  সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ পাঁচ জনের নামে মামলার আবেদন করা হয়েছে করা হয়েছে।

বরিশাল জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর এই  আবেদন করেন ইঞ্জিনিয়ার শেখ মো. সোয়েব কবির। জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ হাসিবুল হাসান আবেদন গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ।

মেয়র ছাড়া অন্য বিবাদীরা হলেন- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং পদে বর্তমানে কর্মরত ওবায়দুর রহমান।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল শেখ মো. সোয়েব কবিরকে। ২০২০ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তিনি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। এরপর তাকে ২০২১ সালের ৯ মে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়েছেন তিনি। এরপর অজ্ঞাত কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তাঁর সেই পদে অপর একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান মামলার বরাতে জানান, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়ার্কিং পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিটি করেপোরেশন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির ২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছিল। এরপর অজ্ঞাত কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 বাদী অভিযোগ করেছেন, তাকে চাকুরিচ্যুত না করে, সরকারি বিধিবিধান না মেনে একই পদে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি সিটি করপোরেশনে বিবাদীদের কার্যালয়ে গিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়ার ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা বেতন-ভাতা ও নিয়োগ বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন।

তাই তার প্রাপ্য বেতন-ভাতা দিতে ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের প্রতিকার চেয়ে  মামলার  জন্য আবেদন করেছেন তিনি, বলেন আইনজীবী।

আগামী ১৪ নভেম্বর বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। এরপর নতুন মেয়র দায়িত্ব নিবেন।