পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয় ও সরকার ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন,  আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে ছিল। আমার সময়ে দাম বাড়লে বা কমলে এর কারণ কী জনগণ জানতো। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল। এখন নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের দেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে সকল পণ্যের দাম কম রয়েছে।’

রংপুর নগরীর পল্লী নিবাস বাসভবনে শুক্রবার,১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করব জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত চিন্তা করছি ৩০০ আসনে নির্বাচন করবো। ভবিষ্যতে কি করবো, সেটা ভবিষ্যতের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে। যেহেতু এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত, অস্বচ্ছ তাই সবকিছু বিবেচনায় নিতে হবে। আমার মনে হয়, সবাই এই অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে, বিরোধীরা আরেক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। কোন পদ্ধতিতে আসলে নির্বাচন হবে, সেটাই আমরা জানি না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপি, অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির, জেলার সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম সাফি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু,কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন ।