বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রকাশ্যে রাজনীতি করায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার না করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সতর্ক করে এই বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেছেন। বলা হয়েছে এটা চাকুরির বিধিমালা লঙ্ঘন, কেউ না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এই অফিস আদেশ জারি হওয়ায় খুশি নগরবাসী। তাদের অনেকে বলেছেন, নগর ভবনে গিয়ে অনেক সময় চেয়ারে কর্মকর্তাদের দেখা যায় না। জানতে চাইলে জবাব আসে ‘দোতলায় গেছেন।’ দোতলায় প্রশাসক/ মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে। বোঝানো হয়ে থাকে তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তাদের অনেকে অফিসেই নেই। আবার বড় কর্মকর্তারা অফিসে না থাকলে জুনিয়ররা নিজের চেয়ার ছেড়ে অন্য রুমে আড্ডা দিচ্ছেন।
এর উপর এখন বইছে নির্বচনী হাওয়া। অফিস রুমে বসেই চলে রাজনীতি। অনেকে অফিস ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা নিয়ে ব্যানার ফেস্টুনও হচ্ছে। সে সব ছবি আবার ফেসবুকে আপলোড করা হয়। অফিসে সে সব নিয়েও কেটে যায় অনেকটা সময়। বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।
এমনিতেই নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়া বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার কে ছুটতে হচ্ছে দুই অফিসে। প্রশাসকের মতো প্রধাননির্বাহী কর্মকর্তাকেও পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর এসব কারনে সিটিতে কাজের সমাধান পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে লোকজনকে।
নগরবাসীর এই দুর্ভোগের সময়ে অফিস আদেশটি কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে ভুক্তভোগীদের মনে। তাদের আশা আদেশ যেন বাস্তবায়ন হয় সেদিকেও নজর রাখা।
প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, বিসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার ইতিমধ্যে সরকারি প্রতিটি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাকে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনীতিতে জড়াতে ‘না’ করেছেন। এ পরেও কেউ কর্মকান্ডে জড়িয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সমালোচিত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করার হুশিয়ারি দেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন