বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
বরিশালে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সভা পণ্ড হয়েছে। সোমবার সকালে নগরের সদর রোড বিবির পুকুরের দক্ষিণপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নাগরিক কমিটি বরিশাল মহানগর শাখা এ সভার আয়োজন করেছিল।
নাগরিক কমিটির সভা আয়োজন স্থানের পাশেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়। বিকালে নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিএনপিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। ঘটনার পরপরই তারা কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশের পূর্ব অনুমতি নিয়ে বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনজন লোক প্রথমে ঘটনাস্থল রেকি করে যায়। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসেই তারা সমাবেশ না করার জন্য বলেন। বাধাদানকারীরা বলেন, ওইখান দিয়ে তাদের মিছিল যাবে। মিছিল যাওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলা হলেও মানেননি বাঁধাদানকারীরা। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও চেয়ারগুলো ছুঁড়ে মারে।
এ সময় নাগরিক কমিটির সদস্যদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারা হয় জানিয়ে ডা. মিতু বলেন, তাকেও কয়েকটি ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। মারধরে আহত হয়েছেন জিএম মেহেদি হাসান, রুমা খান, অসিফত, হানজালাসহ পাঁচজন।
মিতু বলেন, হামলাকারীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিষয়টি জানাতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা সাড়া দেননি।
আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে কেন সমাবেশ করতে যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে মিতু দাবি করেন, নগরের অন্য পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন দল-সংগঠনের আয়োজন থাকায় তারা ওই স্থানটি বেছে নিয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ সেখানে করার অনুমতি দেয়।
মহানগর কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে দেখি, জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে আওয়ামীপন্থীরা সড়ক আটকে সমাবেশ করছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আমরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিই। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অভিযোগের বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, ঘটনার সময়ে তিনিসহ দলের অন্য নেতৃবৃন্দ দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। নাগরিক কমিটির সভায় হামলার ঘটনা পরে শুনেছেন। তবে ওই ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, নাগরিক কমিটির সভায় হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন