বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৮ পিএম
বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এ. কে. এম. মর্তুজা আবেদীনের পিস্তল ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টা ’ এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইছ আহম্মেদ মান্নাকে ‘পিস্তল দিয়ে হত্যা চেষ্টার’ পরস্পর বিরোধী অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর পোর্ট রোডে ভূমি অফিসের সামনে ওই পিস্তল নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানের ট্রাফিক পুলিশ মর্তুজাকে থানায় নিয়ে যান।
মর্তুজা জানান, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি রবিবার পোর্ট রোড ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন। দপ্তরের ভবন থেকে বের হযে প্রধান ফটকে যাওয়ার সময় সেখানে আগে থেকে অপেক্ষামান মান্না ও তার সহযোগীরা তার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা তার পকেটে থাকা পিস্তলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তিনি তখন দৌড়ে একটি ইজিবাইকে উঠলে মান্না ও তার সহযোগীরা ইজিবাইকে উঠে জোড়জবরদস্তি করে তার পিস্তলটি ছিনিয়ে নেয়। তখন সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায়নিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে রইজ আহম্মেদ মান্না সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমিও ব্যক্তিগত কাজে ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। মতুর্জার সঙ্গে দেখা হলে সে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে পিস্তল বের করে আমাকে হত্যাচেষ্টা চালায়। তখন জনতা তাকে আটক করেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘মতুর্জাকে পিস্তলসহ থানায় আনা হয়েছে। পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত কিনা তা যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।তবে মুর্তজা আবেদীনকে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগ নেতা রইছ আহম্মেদ মান্না এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার মামলায় মান্নাকে গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরে তার মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়। মান্না সে সময় কারাগারে ছিলেন।
তার মনোনয়পত্র বাতিল হলে মান্নার ভাই নির্বাচন করেন এবং জাপা নেতা মর্তুজাকে পরাজিত করেন। মতুর্জা ২ নম্বর ওয়ার্ডে টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মান্না ও মর্তুজার বিরোধ শুরু হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন