Advertise top
ধর্ম

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়: রাষ্ট্রপতি

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম    

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন । ফাইল ফটো।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

 

আগামীকাল ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন প্রস্তরকঠিন; কিন্তু, ক্ষমা ও দয়ায় ছিলেন পানির মতো সরল। তাঁর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। এ জন্য পবিত্র কুরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, “নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।”

 

সাহাবুদ্দিন বলেন, “মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তিনি এসেছিলেন ‘সিরাজাম মূনিরা’  আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকার দূর করে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎগুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।”

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মানবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য আলোর দিশারি হয়ে থাকবে।

 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক; আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক; মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।’

সূত্র: বাসস


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal