Advertise top
অর্থনীতি

বরিশালে বেড়েছে তালপাখার চাহিদা, কারিগররা পাবেন সরকারি সহায়তা

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম     আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

বরিশালে বেড়েছে তালপাখার চাহিদা, কারিগররা পাবেন সরকারি সহায়তা
তালপাখা তৈরী করছেন কারিগর

বরিশালে তৈরী লাখ লাখ তালপাখা প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এই তালপাখা তৈরির সাথে জড়িত আছেন কয়েকশত পরিবার। বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার চাঁদশীকে বলা হয় পাখা পল্লীর গ্রাম।   এ গ্রামের কারিগররা  জানান, পাখা পল্লীর তালপাখা বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মেলা, হাট-বাজার, বাসস্টান্ডসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে।

 

এবিষয়ে পাখা পল্লীর নারী কারিগর শেফালী, সুমা ও আশা জানান, ৩০ বছর ধরে তাদের পরিবারের সদস্যরা তাল পাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরি করে আসছেন। গৌরনদী উপজেলায় গ্রামটির নাম ‘চাঁদশী’ হলেও পাখা তৈরির এলাকাটি ‘পাখা পল্লী’ নামেই সবার কাছে পরিচিত।

 

সংসারের কাজের পাশাপাশি তালপাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে গ্রামটির অনেক নারী। গরমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মচাঞ্চল্যও বাড়ে ‘পাখা পল্লী’র মানুষদের।

 


 

পাখার জন্য পাতা সংগ্রহ, ধোয়া, শুকানো এবং পরিষ্কার করার কাজটা করেন পুরুষরা। বাকি কাজ নারীদের। পাখা আকৃতির মতো পাতাগুলো কেটে রং দেয়া, বাঁশের কাঠি যুক্ত করা, সুই ও সুতা দিয়ে বাঁধায়ের পর পাতাগুলো হয়ে ওঠে সুন্দর হাত পাখা। একজন নারী প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ পিস পর্যন্ত পাখা তৈরি করতে পারেন। ৮০টি হাত পাখা সুই-সুতা দিয়ে সেলাই ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের বিনিময়ে পেয়ে থাকেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

 

এদিকে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার তালপাখা তৈরির কারিগর কাসেম খলিফা, আবুল হোসেন, শাহজাহান খলিফা,স্বপন খলিফাসহ একাধিক হস্তশিল্পী (কারিগর) জানান, সপ্তাহে একদিন পাইকারা এসে বাড়ি থেকে হাত পাখা ক্রয় করে নিয়ে যায়। পাখা তৈরি করাই হচ্ছে তাদের গ্রামের প্রধান আয়ের উৎস।

 

এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলার চাদঁশী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভাবে সহযোগিতা করা হলে এ ক্ষুদ্রকুটির শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে।

 

এ ব্যপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রও কুটির শিল্প করর্পোরেশন (বিসিক) বরিশালের উপমহাব্যবস্থাপক (ভাঃ) মো. জালিস মাহমুদ বলেন, এখানকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হস্তশিল্পী ও কারিগরদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বিসিক কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে আরও বড় পরিসরে কাজ চালিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, তালপাখার এ শিল্পকে ধরে রাখতে হবে। প্রকৃতপক্ষে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন দরকার। চাদঁশী পাখাপল্লীর বাসিন্দাদের নিয়ে সমিতি গঠন করে তাদের মাঝে টাকা প্রদানের জন্য ‘আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প’কে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদানসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal