Advertise top
বাংলাদেশ

বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে: স্পিকার

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম    

বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি এমপি বলেছেন, সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি: গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ,ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, যা সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে।

 

স্পিকার মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৪৮ তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

 

ঢাকায় বুধবার, ২৭ মার্চ প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 

বক্তব্যের শুরুতেই স্পিকার বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এইদিন আমরা ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীনতার ৫৩ তম বর্ষ উদ্‌যাপন করছি। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

 

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য যেখানে সকলের জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে।

 

তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সকলের সম-অধিকার ও আইনের আশ্রয়লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

 

ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিলটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

 

তিনি বলেন, খসড়া বিলটি সংসদে এলে তা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে যাচাই- বাছাইয়ের পর মূল রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হলে তা আইনে পরিণত হবে।

 

তিনি বলেন, সকলকে মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে। আইনের সমান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

 

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি, এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এ আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র:বাসস


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal