বরিশাল নিউজ, ভোলা
প্রকাশ : ১৮ আগষ্ট ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম
ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া উইনিয়নের দুই যুবক জাহিদ হোসেন ও মো. জিহাদ। সম্পর্কে তাঁরা দুইজন চাচাতো ভাই। শিক্ষিত এই দুই ভাই ইউটিউবে ভিডিও দেখে শুরু করেন ঝিনুকে মুক্তা চাষ।
এজন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁরা ২৪ শতাংশ জমির একটি পুকুর লিজ নেন। প্রথমে শুরু হয় মাছ চাষ। এরপর সেখানে এক হাজার ঝিনুকে বসানো হয় দুই হাজার নিউক্লিায়াস। যার আরেক নাম ইমেজ মুক্তা। পরে এগুলো ৩৫টি খাঁচায় ভরে পানির নির্দিষ্ট গভীরতায় রেখে দেয়া হয়। এ পর্যন্ত আসতে তাঁদের খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। আরও তিন/ চার মাস পরে এগুলো বিক্রির উপযোগী হবে বলে জানান এই দুই মুক্তা চাষী। আর এতে তাঁদের আয় হবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
তাঁরা জানান, প্রায় ৩ মাস পর ঝিনুকের মধ্যে লেয়ারের সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে চকচকে মুক্তায় পরিণত হয়। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ১০ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। প্রতি ১৫ দিন পর-পর ঝিনুকের খাবারের জন্য পুকুরের পানিতে ইউরিয়া, পটাশ, ড্যাব এবং খৈল ছিটিয়ে দিতে হয়। এসব কাজ তাঁরা নিজেরাই করেন।
মুক্তা চাষি মো. জিহাদ বলেন, এক সময় মনে করা হত মুক্তার আকার শুধু গোল হয়। এখন তাদের ধারণা পাল্টে গেছে। তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইনের ও রংয়ের মুক্তা উৎপাদন করছেন।
পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা এই উদ্যোগ সফল হলে বড় আকারে মুক্তার চাষ করার ইচ্ছা তাঁদের।
আমাদের বঙ্গোপসাগরকে বলা হয় প্রাকৃতিক মুক্তার আবাসস্থল। বাংলাদেশের মহেশখালী ছিল ‘পিংক পার্ল’ বা গোলাপি মুক্তার জন্য জগদ্বিখ্যাত। এছাড়া চারদিকে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পুকুর-দীঘি, খাল-বিল, হাওর-বাওর। এসব জলাশয় মুক্তা বহনকারী ঝিনুকে পরিপূর্ণ। তবে গুণগত উৎকর্ষতা সম্পন্ন গোলাপি মুক্তা বৃহত্তর ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে বেশি পাওয়া যায়।
দেলৈতখানের এই উদ্যোগ প্রান্তিক যুবকদের উৎসাহিত করবে এমন আশা মৎস্য বিভাগের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন