বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এক কর্মকর্তা ও কানাডার দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
কেবিন দুগ্গান, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ ও নিউ ইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এ তিন বিদেশি নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারেন কি না, সে বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল সারা দেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু, আবেদন করার ক্ষমতা তার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি।’ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশির সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এরআগে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকো এবং পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
শনিবার , ৯ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চের সাক্ষরের পর রায়টি প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালত। ৫৮ পাতার রায়ে উঠে এসেছে নাইকো চুক্তির নানা অস্বচ্ছতার কথা।
রায়ে বলা হয়, নাইকোর সঙ্গে বাপেক্সের চুক্তিতে ঘুষ লেনদের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে। শুধু তাই নয়, এ চুক্তিতে যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। কাজেই এ চুক্তি বাতিলই সঠিক। সেই সঙ্গে কানাডিয়ান রয়েল পুলিশ এ ঘটনায় যে প্রমাণ দিয়েছে তাও প্রমাণ করে এখানে কিছু মানুষ লাভের জন্য চুক্তি করেছিল।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স এবং পেট্রোবাংলার চুক্তি দুটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের হাইকোর্টে রিট করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন