Advertise top
আদালত-অপরাধ

‘রাজসাক্ষী’ হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম    

‘রাজসাক্ষী’ হলেন সাবেক আইজিপি মামুন
পুলিশ হেফাজতে আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আমার জ্ঞানের মধ্যে থাকা সমস্ত পরিস্থিতির সত্য এবং বিস্তারিত প্রকাশ করতে ইচ্ছুক।’ এরপর তার নিরাপত্তা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন তার আইনজীবী।

 

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই দুপুরে অভিযোগ গঠনের আদেশের সময় ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে দায় স্বীকার করেন তিনি।

 

এ সময় ট্রাইব্যুনাল তার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠন করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

 

ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আদালতকে বলেন, ‘আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন চলাকালে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ আমি আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।’

 

আইনজীবীরা বলেন, কোনো আসামি এ ধরনের স্বীকারোক্তি দিলে তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই হিসেবে সাবেক আইজিপিকে এ মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে ধরা হচ্ছে।

 

এদিকে দোষ স্বীকারের পর মামুনকে পৃথক সেলে রাখা এবং নিরাপত্তা দিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। পরে আদালত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউশন টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

 

আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামুন বলেছেন, তিনি একজন সাক্ষী হিসেবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের যে সব ঘটনা ঘটেছে সমস্ত কিছু জানবার কথা। তিনি সমস্ত তথ্য আদালতকে উদ্‌ঘাটনের ব্যাপারে এপ্রোভার হতে চেয়েছেন। সেই প্রার্থনা আদালত মঞ্জুর করেছেন। সুতরাং তিনি পরবর্তী সময়ে আদালতের সুবিধাজনক সময়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আদালতকে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনে সাহায্য করবেন। এতে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন।’

 

উল্লেখ্য, ‘রাজসাক্ষী’ বলতে বুঝায় যখন কোনো ব্যক্তি নিজে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পরও নিজের অপরাধ স্বীকার করে ও অন্যান্য অপরাধী বা ঘটনার বিষয়ে সত্য বিবরণ দিতে ইচ্ছুক থাকে এবং বিনিময়ে আদালতের কাছে ক্ষমা বা ছাড় আশা করেন। একে ইংরেজিতে 'approver' বলা হয়।

ইত্তেফাকের সৌজন্যে


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal