Advertise top
বাংলাদেশ

ভোট ও ভাতের অধিকার যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে:সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ পিএম    

ভোট ও ভাতের অধিকার যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে:সংসদে প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বহু সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এই অধিকার যাতে কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি আমরা। রাজপথে ছিলাম, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তে রঞ্জিত শহিদের তালিকা দেখলে আমাদের আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামের তালিকাই পাওয়া যাবে।

 

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে দেখি নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নির্বাচন নিয়ে সবাই খুব সোচ্চার। কিছু দেশ আমাদের দেশের নির্বাচন আর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে।

 

তিনি বলেন, সেসব দেশের কাছে আমার প্রশ্ন, ১৯৭৫ সালের পর বারবার যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে ‘হ্যাঁ/না’ ভোট বা রাষ্ট্রপতি ভোট, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮১ সালের নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অথবা ২০০১ সালের নির্বাচন। যে নির্বাচনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছিল, সে সময় তাদের চেতনা কোথায় ছিল? সে সময় তাদের বিবেক কি নাড়া দেয়নি?

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকারে এসেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করছে। মানুষ খেতে পারছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এর চেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? বা পৃথিবীর কোন দেশে হয়ে থাকে? অনেক দেশের নির্বাচন তো এখনো তাদের বিরোধী দল মানেইনি, এ রকমও তো ঘটনা আছে। তারপরও আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনেক সবক শুনতে হচ্ছে।

 

সংসদ নেতা বলেন, আজকে যখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নির্বাচনটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন তো উত্তরবঙ্গে কোনো মঙ্গা নেই। গত ১৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে একদিনের জন্যও তো মঙ্গা হয়নি। মানুষের তো খাদ্যের অভাব হয়নি। আমরা তো দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তার শুভ ফলটা তো তৃণমূলের মানুষও পাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।

 

তিনি বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেব, ঘরে ঘরে আলো জ্বালব। আমরা তো জ্বালতে পেরেছি। যদিও এর মাঝে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশনস, কাউন্টার স্যাংশনস, তার আগে গেল কোভিডের অতিমারি, যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তারপরও এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা তো পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal