উজিরপুর প্রতিনিধি, বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ এএম

চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যার পরে উত্তাল হয়ে ওঠে উজিরপুর উপজেলার বাটাজোর এলাকা। স্থানীয় ‘মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ সিজারিয়ান অপারেশনের পর সাথী আক্তার পরি (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
নিহত সাথী আক্তার বাটাজোর ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। স্বজনরা জানান, শনিবার সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে সাথীকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিজারের পরামর্শ দেয়। দুপুরের দিকে অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং একটি সুস্থ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সিজারের কিছুক্ষণ পরই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং শরীর নীল হতে থাকে।
স্বজনদের অভিযোগ: নিহতের স্বামী জসিম উদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হওয়ার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ক্লিনিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না। যখন তারা বুঝতে পারে রোগী মারা গেছে, তখন ডাক্তার ও ক্লিনিকের ম্যানেজার পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।”
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী ও স্বজনরা ক্লিনিকে হামলা চালায়। তারা ক্লিনিকের অভ্যর্থনা কক্ষ, ফার্মেসি এবং জানলার কাচ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পলাতক ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিককে আটকের চেষ্টা চলছে।” নবজাতক শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন