Advertise top
রাজনীতি

ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ার ঘোষণা

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০৪ এএম    

ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ার ঘোষণা
পল্লীবন্ধু এরশাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টির নামে ছয়টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে এরশাদের জাতীয় পার্টির পাশাপাশি, জাতীয় পার্টি (রওশর এরশাদ) জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও জাতীয় পার্টির (মতিন) নেতারা একমঞ্চে এসে আবারও ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ার ঘোষণা দিলেন।

 

এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার দুপুরে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় পল্লীবন্ধু এরশাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভায় তারা এ ঘোষণা দেন।

 

মূলত জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যার এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পল্লীবন্ধু এরশাদ স্মৃতি সংসদ ব্যানারে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। 

 

জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) নির্বাহী সভাপতি কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশের (জেপিবি) প্রধান উপদেষ্টা সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন, জাতীয় পার্টির (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী। জাপার সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, জাপার ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, খুলনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমাকে বলা হয় আমি জাতীয় পার্টি ভেঙেছি। কিন্তু আমি দল ভাঙিনি। দল আমাকে বের করে দিয়েছে। আমার নেতৃত্বে আন্দোলন করে আমি এরশাদকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলাম।  আমি সব সময় বলে এসেছি ঐক্যের কথা। আজ এরশাদ সাহেবের স্মরণ সভায় এসে বৃহত্তর ঐক্যের যে কথা শুনছি, তা যদি বাস্তবে কার্যকর করা যায়, তাহলে দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

 

তিনি বলেন, এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচার বলা হচ্ছে। সময়ের পরির্বতনে আরও অনেক দলকে স্বৈরাচার বলা হবে।

 

এই নেতা আরও বলেন, সব সরকারই সংস্কার করতে চায়, একই সঙ্গে সব সরকার ভালো কাজ করতে চায়। কিন্তু নানা বাধার কারণে সব কিছু করা যায় না। এরশাদ সাহেব যে সংস্কার করে গেছেন; তা কোনো সরকার করতে পারেনি।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal