Advertise top
বরিশাল

লঞ্চঘাটের দখল নিয়ে মেয়র খোকন-সাদিক অনুসারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম    

লঞ্চঘাটের দখল নিয়ে মেয়র খোকন-সাদিক অনুসারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
বরিশালে লঞ্চঘাট ধখল নিয়ে বর্তমান ও সাবেক মেয়র অনুসারিদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে একতলা লঞ্চঘাট ও বালুরঘাট দখল নিয়ে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়।

 

সূত্র জানায়, চলতি বছর একতলা লঞ্চঘাট ও বালুর ঘাটের ইজারা পেয়েছেন মেসার্স হাসিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসিবুল ইসলাম। তিনি সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী বলে পরিচিত। কিন্তু সাবেক ইজারাদার মির্জা আবুয়াল হোসেন অরুন ঘাটের দখল ছাড়তে রাজি নন।তিনি বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর অনুসারি বলে পরিচিত।

 

এই ঘাট দখল নিতে গিয়ে এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সোমবার, ১ জুলাই ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাবেক ইজারাদার সকাল থেকে লোকজন নিয়ে ঘাটে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে নতুন ইজারাদারের লোকজন ঘাটের দখল নিতে সেখানে যান। তারা বলেন, দুপক্ষের হাতেই ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। বর্তমান মেয়রের অনুসারীরা লঞ্চঘাটের সবকটি গেট আটকে ভেতরে অবস্থান নেন। লঞ্চঘাটের মূল গেটের বাইরে সাবেক মেয়রের অনুসারীরা অবস্থান নিলে গালাগাল ও ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন এক সাংবাদিক।

 

মেসার্স হাসিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, “নিয়মমাফিক দরপত্র আহ্বান করা হলে আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হই। বৈধ ইজারাদার হয়েও আমি ঘাটে যেতে পারছি না।”

 

হাসিবুলের অভিযোগ, মাসিক দশ হাজার টাকা সরকারি ফান্ডে দিয়ে অবৈধভাবে কোটেশন করে ঘাট চালাচ্ছেন অরুন হাওলাদার ও খান হাবিব। তারা বর্তমান মেয়রের লোক হওয়ায় তিনি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না।

 

সাবেক ইজারাদার মির্জা আবুয়াল হোসেন অরুন বলেন, “ঘাটের ইজারা আমাদের প্রতিপক্ষরা পেয়েছে। তবে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের কাছে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বৈঠকে আসেননি।”

 

এ বিষয়ে বরিশাল পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, “লঞ্চঘাটের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal