বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যে সামুদ্রিক এলাকাগুলো অর্জন করেছি সেখান থেকে আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ব্লু ইকোনমির ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।’
দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা থেকে ‘সামুদ্রিক সম্পদ’ আহরণ করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ আইন প্রণয়নের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা ২০১২ এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করেছি। ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ক্রমধারা বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় করে এবং আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমুদ্রে যে সম্ভাবনাময় সুবিশাল একটি অর্থনৈতিক এলাকা পেলাম তা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে। কাজেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ জাতীয় উন্নয়নের সূচকে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আজকের এই দিনে যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ এর মূলনীতি দেশের সমুদ্র কেন্দ্রিক সকল সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অঞ্চল যেটুকু আমরা অর্জন করেছি সেখানে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা এবং আমাদের অর্থনীতিতে অর্থাৎ যে ‘ব্লু ইকোনমি’ আমরা ঘোষণা দিয়েছি সেখানে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইতোমধ্যে আমরা একটি ইনস্টিটিউশনও তৈরি করেছি গবেষণার জন্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কাজেই ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এবং কারো সঙ্গে যে বৈরিতা নয়’ এই নীতিই আমরা মেনে চলবো। এই পররাষ্ট্র নীতি ধারণ করেই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন সব সময় চলমান থাকে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকবো।
তিনি বলেন, আমরা ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর সূবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করছি। কাজেই এই সময়ে এই আইনটি তাৎপর্য বিশেষভাবে উপলব্ধি করার সময় এসেছে।
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি অনুষ্ঠানের বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়নের বার্ষিকীর সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ক্রেডিট: বাসস
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন