বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম
মনোনয়নপত্রে সরকারি কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে থাকার তথ্য গোপন করে চট্রগ্রাম-৪ (সীতাকু- ও চট্রগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আদালতের যে আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আজ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত খরচা হিসেবে এক লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের ডে কেয়ার সেন্টারে জমা দিতে সালাউদ্দিনকে আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিরত সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্রগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সালাউদ্দিন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে অসংগতি থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করলে তা নামঞ্জুর হয়। নামঞ্জুর সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিট করলে তা খারিজ করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। শুনানি নিয়ে ২১ ডিসেম্বর চেম্বার কোর্ট তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।
এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ২৭ ডিসেম্বর ইসি আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে ইসির আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, সালাউদ্দিন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ২০১২ সাল থেকে সীতাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করে আসছেন। অথচ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের ব্যক্তিগত তথ্যে তিনি পেশা ব্যবসা (ওষুধ) উল্লেখ করেছেন। হলফনামায়ও পেশা ব্যবসা (ওষুধ) বলে উল্লেখ করেছেন।
সালাউদ্দিন যে সরকারি চাকরিজীবী, সে বিষয়টি তিনি গোপন করেছেন। এমনকি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকায় তার (সালাউদ্দিন) নাম রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। সংবিধান ও সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত আজ আদেশ দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন