বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১০ পিএম আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টসহ রাজনীতিকদের নির্বাচনের ছয় মাস আগে বা নির্বাচনের পরে গ্রেপ্তার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সৎভাবে ভোট করতে চাচ্ছি। কোনো দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। সেজন্য আমরা সরকারকে এটা জানাব যদি তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হয় ছয় মাস আগেই সবাইকে গ্রেপ্তার করে ফেলেন। আর যদি না করেন তবে নির্বাচনের পরে গ্রেপ্তার করে ফেলেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক হবে না। এতে আমরা কলঙ্কিত হবো বলে মনে করি। পোলিং এজেন্ট না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
বুধবার ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিইসির সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বড় পর্দার মাধ্যমে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচনগুলো প্রতিযোগিতামূলক হলে ইসির দায়িত্ব অনেক কমে যায়। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে ইসির অল্প একটু রেফারির ভূমিকা থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাজনৈতিক দলগুলোই তাঁদের অবস্থানটাকে সুদৃঢ় রাখবে। কার্যকর প্রতিযোগিতা হলে ভোট কেন্দ্রের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হয়ে যায়। তখন ইসির দায়িত্ব কমে আসে। ইসি দেখতে চায়, নির্বাচনের দিনে ভোটাররা এসেছেন। তারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে ঢুকছেন।’
রাশেদা সুলতানার সুরে আক্ষেপ
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা কী এমন করেছি যে আমাদের ওপর আস্থা আনা যাচ্ছে না। অনেককে বলতে শুনেছি আমরা নাকি লোক দেখানো কাজ করছি। আসলে আমাদের কাজ হচ্ছে জাল ভোটার থাকবে না। অবাধ ও উৎসমুখর ভোট করা। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে নির্বাচিত হবে। আমাদের কোনো চাওয়া নেই। তারপরও আমাদের ওপর অনেকে আস্থা রাখতে পারছে না।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের অন্যতম সদস্য মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে ইসির ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে তারা যখন আপোস করতে পারবেনা তখন মারামারি ছাড়া আর কোনো গত্যান্তর নেই।’
কে এম নূরুল হুদা কমিশনের অন্যতম সদস্য কবিতা খানম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। সব দলকে ভোটে আনা এটা ইসির দায়িত্ব নয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বড় দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সেটি গ্রহণযোগ্যতা পায় না।’
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ‘ভোট অবাধ করতে সবাইকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালো ভূমিকা নিতে হবে। ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ডিজি আসাদুজ্জামন আরজু প্রমূখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন