বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
খবর বিবিসির।
আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ১ এ এই বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
শুনানির শুরুতেই চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সময় ২০০৯ সালের ছয়ই জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত।
মি. ইসলাম তার বক্তব্য উপস্থাপনের সময় একটা বড় অংশ জুড়ে শেখ হাসিনার বাবা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনার 'কৃত অপরাধের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য' বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশে আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখার আকাঙ্ক্ষা ছিল শেখ হাসিনার। তার পিতাও চেয়েছিল এমনটা।"
"আওয়ামী লীগ মনে করে শেখ মুজিবই বাংলাদেশের স্বাধীনতার একক কৃতিত্বের দাবিদার" উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর মি. ইসলাম বলেন, "পারিবারিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা সব রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় শেখ মুজিবের ছবি রাখতে বাধ্য করে। তার জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনে বাধ্য করে।"
এ মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। পলাতক দুই জনের পক্ষে আইনি লড়াই করতে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আমির হোসাইন।
কিন্তু মি. হোসাইন শুনানির জন্য প্রস্তুত হতে ১৫ দিন সময় আবেদন করলে এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল। আগামী সোমবার এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মি. ইসলাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাসে আসামিদের জন্য গারদে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তা। সাদার ওপরে লাল - কালো চেক শার্ট পরে এসেছিলেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর যখন অভিযোগ উত্থাপন করছিলেন তখন তিনি শান্তভাবে তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
এক পর্যায়ে বিমর্ষ ও মাথা নিচু করে থাকতে দেখা যায় তাকে।
আজ ট্রাইব্যুনালের এই শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন