বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
বৈষম্যহীন এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে আজ রবিবার আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তালা দেওয়ার পর আবার ভিতরে ঢুকে কক্ষ ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টার দিকেও থেকে থেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতর অবরুদ্ধ। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন জানিয়ে তপন কুমার বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের অফিসে ভাঙচুরও চালিয়েছে।’
বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত করেছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বোর্ডের মতো রবিবার বরিশাল,যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরাও পাস করানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
রবিবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদে শিক্ষাবোর্ডের সামনে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ করেন। এসময় বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রাখেন তারা। একই সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মিছিল করেন।
ফেল করা শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বৈষম্যমূলকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সিলেট বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দিয়েও কীভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে এ প্লাস পায়? আমরা ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও কীভাবে ফলাফল খারাপ আসলো? তাই আমরা এসএসসি ফলাফলের মাধ্যমে সব বিষয়ে ম্যাপিং করার দাবি জানিয়েছি।’
কুমিল্লায়ও ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফলাফল পরিবর্তন করে পাস ঘোষণার দাবিতে বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার, ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক আটকে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি সব বিষয়ে এসএসসির সাথে ম্যাপিংয়ের করে ঘোষিত ফলাফল পরিবর্তন করে তাদের পাস দেখাতে হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো। কিন্তু তারা তা না শুনেই ফটকের সামনে বসে আছে। তারা আজই সবাই ফল চায়। সবাই পাস চায়।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন