Advertise top
চিকিৎসা

রোগীর পেটে ১২ কেজি ওজনের টিউমার!

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম    

রোগীর পেটে ১২ কেজি ওজনের টিউমার!
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে সফল অস্ত্রপচার

রোগীর নাম কামাল হোসেন। বয়স ৪৫ বছর। ওজন ৫০ কেজি। ডাক্তাররা তার পেটে অপারেশন করে পেয়েছেন ১২ কেজি ওজনের টিউমার !

 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে আজ  রবিবার, ৩০ জুন প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে ‘রেট্রো পেরিটোনিয়াল’ নামের টিউমারটি অপসারণ করেন ডাক্তাররা।

 

সফল এই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক।

 

রোগীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মৌরিন বেগম জানান, দুই বছর আগে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের রেডিও মেকার হিসেবে পরিচিত মো. কামাল হোসেনের পেটে ব্যথা শুরু হয়। তখন অর্থের অভাবে গ্রামের হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তারা। পরবর্তীতে হোমিও চিকিৎসক তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। গত ২২ জুন তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ১ নং ইউনিটে অধ্যাপক ডা. ডা. জি. এম. নাজিমুল হক এর তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি হন।

 

কামালের খালাতো ভাই মো. জাহিদ হোসেন জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে দুই সন্তানের জনক মো. কামাল হোসেনকে ভর্তির পর এখানকার চিকিৎসকরা যত্ন নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রয়োজনীয় ঔষধ ছাড়া তেমন আর কোন খরচ লাগেনি এই অপারেশনে। রোগী বর্তমানে সুস্থ আছেন জানান স্বজনরা।

 

এই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক। অস্ত্রোপচারের টিমে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. গ্রিন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. অনুপ কুমার সরকার ও ডা. মো. হোসাইন শাওন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. বায়েজীদ হোসেনসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

 

সফল এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেওয়া শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক বলেন, রোগীর পেটের চারপাশে টিউমারটি ছড়িয়ে ছিল। বিশেষ করে তার পেটের ওপরের অংশ থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত টিউমার বিস্তৃত ছিল। আমরা রোগীর খাদ্যনালি সেইফ করে ১২ কেজি ওজনের বড় আকারের টিউমারটি অপসারণ করেছি। এবং টিউমারটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বায়োপসি টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। রোগী বর্তমানে সুস্থ আছেন। বায়োপসি রিপোর্ট আসা পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন। তিনি বলেন, এই ধরনের টিউমার রোগী বেশিদিন বহন করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা এই রোগের করানো হলে রোগীর ঝুঁকির আশঙ্কা কমে যায়। তাই শরীরের কোথাও কোনো চাকা হলে বা পেট ভারী হওয়ার মতো সমস্যা দেখা গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal