Advertise top
বাংলাদেশ

১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবেন নাবিকরা, সেখান থেকে দেশে

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১০ পিএম     আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবেন নাবিকরা, সেখান থেকে দেশে
২ে৩ নাবিকের মুক্তির বিয়য়ে সংবাদ সম্মেলন করছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

সোমালি জলদস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিক ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন।  শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাবিকদের মুক্তি দেয় জলদস্যুরা। 

 

মুক্তি পাওয়ার পর নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি দুবাইর পথে রওনা দিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল জাহাজটির দুবাই পৌঁছানোর কথা রয়েছে। দুবাই থেকে  নাবিকদের ইচ্ছানুযায়ী  জাহাজে অথবা ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।

 

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম এর ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) পথে রওয়ানা দেয়। সেখান পৌঁছতে ১৯-২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী জাহাজে অথবা বিমানে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

 

এদিকে ঈদের রেশ না কাটতে এবং নতুন বছরের শুরুর দিনে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় নাবিক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে স্বস্তি। এখন স্বজনরা নাবিকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।

 

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে। কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে মুক্তি দেওয়ার খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

 

নাবিকদের বলপ্রয়োগে উদ্ধার করতে চেয়েছিল বিদেশি যুদ্ধজাহাজ

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করার পর বলপ্রয়োগে উদ্ধার করতে চেয়েছিল বিদেশি যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাতে রাজি হয়নি। এতে নাবিকদের জীবন সংকটে পড়ত।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি যুদ্ধজাহাজ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগে উদ্ধার করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে দ্রুত তৎপরতা শুরু করে। সেটি করতে সরকার রাজি হয় নি। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষও রাজি ছিল না। কারণ এতে নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা ছিল।


 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal