Advertise top
অর্থনীতি

চালের বস্তার ওপর লিখতে হবে ৬ তথ্য

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম     আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮ পিএম

চালের বস্তার ওপর লিখতে হবে ৬ তথ্য
চালের বস্তা। ফাইল ফটো

চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চালের বাজারজাত নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আগামী ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ) থেকে বস্তার ওপর ছয়টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।

 

বস্তায় উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

 

সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে তথ্য পাওয়া যায়, বাজারে একই জাতের ধান হতে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নাম ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

 

১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে।

 

২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্য কালি দ্বারা হাত দিয়ে লেখা যাবে না।

 

৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্য মুদ্রিত করতে হবে।

 

৪. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

 

৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার/ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

৬. আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।



মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal