বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮ পিএম আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২১ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সবার জন্য (আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী) নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রকেও কেড়ে নেয়া হতো।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, তাঁর দলের লোকদের জন্য নির্বাচন না হলে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা নষ্ট হয়ে যেত। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় তাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসরণের কথা উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, “এই অর্জন ধরে রাখতে আমরা নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম, তা আমরা ভুলে গেছি, এমন কথা বলবেন না।”
তিনি বলেন, তাঁর দল ও দলের সকল লোকের জন্য পুনরায় উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে, নির্বাচনটি ঘনিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য কে কতটা কাজ হয়েছে এবং কে ইতোপূর্বে তা করতে পারেনি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব- কাকে জনগণ গ্রহণ করেছে।”
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের বিরুদ্ধে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা কোনো ধরনের সংঘর্ষ চাই না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক না কেন।”
দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ্য করে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাদের অবশ্যই এর পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু সেগুলোও বিরোধীরা মেনে নিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সকলে নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করব। কেন্দ্রীয় কমিটি তা করবে। তবে, নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন