বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১০ এএম আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন পায়।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
২০২৩ সালের ২৮শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুড়ঙ্গ পথটি উদ্বোধন করেন।
সুড়ঙ্গ নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।
টানেল ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে যানবাহন আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামে নতুন শিল্প উদ্যোগকে সারাদেশের সাথে যুক্ত করবে এই টানেল।
নদীর তলদেশে এই টানেলটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সুরঙ্গ সড়ক। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
টানেলের প্রতি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। এছাড়া, দুটি টিউবের মধ্যবর্তী ব্যবধান ১১ মিটার। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার (২.১৩ মাইল) । নদীর তলদেশে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকায় নির্মিত এই টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের শুরু দক্ষিণ পতেঙ্গা, ৪১ নং ওয়ার্ড, শেষ কক্সবাজার সড়ক, আনোয়ারা উপজেলায়।
টানেল পার হতে সময় লাগবে তিন মিনিট
প্রতি টিউবে ২ লেনের সড়ক।
টানেলে কোনো থ্রি হুইলার বা মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে না। টানেলের ভেতর হাঁটাও যাবে না। শুরুতে টানেলের ভিতর গাড়ির গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন