বরিশাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১০ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজকে যেমন আমরা লি কুয়ানের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, তেমনি আওয়ামী লীগ আরেকবার দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব পেলে তখন বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে।”
বুধবার, ১১ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর এবং দিনাজপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন ‘পশ্চিম বাংলায় বাম ফ্রন্ট তিন দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। মালয়েশিয়া যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দল পাঁচ দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। সিঙ্গাপুরে যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দল এখনো রাষ্ট্রক্ষমতায়। সেখানেও বহুমুখী গণতন্ত্র, কিন্তু সে দল এখনো রাষ্ট্রক্ষমতায়।’
তিনি বলেন, পঞ্চম বারের মতো যদি জনগণ আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, আগামী পাঁচ বছরে ইনশাআল্লাহ দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। তৃণমূলের নেতারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বিরোধী দলে ছিলাম, আমরা প্রচণ্ড শক্তিশালী সংগঠন ছিলাম। কারণ, আমাদের ভিত্তি জনগণ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সমস্ত ষড়যন্ত্র, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েছে।’
নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে, উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। একটি মহল দেশে তাবেদার সরকার বসাতে চায়। হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসাতে চায়। আরেকটি মহল সেটির মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই বৈঠক তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার কার্যক্রমের অংশ। আমরা সেজন্য ঐক্য এবং সংহতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তথ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘মার্কিন জরিপে উঠে এসেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৭০ ভাগ। পরশুদিন আইএমএফ রিপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ আর পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ। আমি জানি না, এসব জরিপ মির্জা ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে কি না। তাদের চোখেও সমস্যা আছে, কানেও সমস্যা আছে। সেই সাথে মনের সমস্যা আছে, বোধশক্তির সমস্যা আছে। সে কারণে তারা এগুলো দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না।’
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন