বরিশাল নিউজ, ভোলা
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটার আঘাতে এক পুলিশ, দুই সাংবাদিকসহ উভয় দলের ২০ জনের মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে দল দু’টি।
গুরুতর আহতদের ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহরের নতুন বাজার এলাকায় শনিবার, ১ নভেম্বর দুপুরে জেলা বিজেপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র ও সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলায় শনিবার বিএনপি ও বিজেপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা পৌনে ১২টার দিকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে জেলা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বাংলাস্কুল মোড়, সদর রোড হয়ে বরিশাল দালানের সামনে দিয়ে চকবাজার হয়ে পুনরায় নতুন বাজারে এসে শেষ হয়। এরপর তারা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে।
অন্যদিকে, সকাল থেকে শহরের মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী একটি মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিলটি বাংলাস্কুল মোড় ঘুরে কাবিল মসজিদ মোড় হয়ে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আউয়াল, স্থানীয় দৈনিক আজকের ভোলার সহ-সম্পাদক ও বাংলাবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম শাহরিয়ার ঝিলন, নিউজ ২৪ এর ক্যামেরা পার্সন রানা ইসলাম।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আন্দালিব রহমান পার্থ’র গরুর গাড়ি মার্কার সমর্থনে আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালি ও সমাবেশ শেষ করে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিল। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এবং অফিস ভাঙচুরসহ আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে আহত করে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের হ্যাঁ/না ভোটের দাবিসহ নির্বাচনে বিলম্ব ঘটানোর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। বিজেপির মিছিল শেষে আমাদের মিছিল শুরু হয়। আমাদের মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপির মুখোমুখি হলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের নতুন বাজারস্থ জেলা বিজেপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়।
বিকাল ৫টার দিকে ভোলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন