Advertise top
পরিবেশ

সাদাপাথর লুট: তালিকায় ৪ দলের ৪২ জন

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ আগষ্ট ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম    

সাদাপাথর লুট: তালিকায় ৪ দলের ৪২ জন
সাদা পাথর । ফাইল ফটো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ৪২ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক। তাদের মধ্যে সিলেট মহানগর বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও কার্যক্রম স্থগিত আওয়ামী লীগের নেতারাও রয়েছেন। কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান ও অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। তবে আরও কয়েকজনের নাম যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান।

 

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলার তথ্যও পেয়েছে দুদক।

 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভোলাগঞ্জ থেকে ১০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। এর মধ্যে অতি মূল্যবান সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট। গত এক বছরে সাদাসহ অন্যান্য পাথর লুট হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ ঘনফুট। সাদাপাথর লুটের ঘটনা ধরা পড়ে গত ১০ আগস্ট। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা হলে দেশে আলোড়ন শুরু হয়।  এরপর দুদক ভোলাগঞ্জে অভিযান চালায় গত ১৩ আগস্ট।

 

দুদকের অনুসন্ধানে ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর লুটের সঙ্গে ৪২ জন স্থানীয় ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছেন। তালিকায় বিএনপির ২০, আওয়ামী লীগের ৭, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি দুজন করে এবং স্থানীয় ১১ জন ব্যক্তি রয়েছেন।

 

বিএনপির ২০ নেতাকর্মী হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।

 

জামায়াতের ২ নেতা হলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।

 

এনসিপির দুই নেতা হলেন- সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

 

আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিল্লাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

 

দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ পাথর উত্তোলনে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের অবহেলাও ধরা পড়েছে। বিষয়টি দ্রুত কমিশনে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট টিম পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এর ভিত্তিতে কমিশন পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে।’


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal